আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৩ (২১ শে ফেব্রুয়ারি)
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
বাঙ্গালি বা বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (২১ শে ফেব্রুয়ারি) একটি স্বরণীয় এবং গৌরবোজ্জ্বল দিন। ১৯৫২ সালের এই দিনে (৮ ফাল্গুন, ১৩৫৮, বৃহস্পতিবার) বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে অনেক তরুণ শহীদ হন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলো রফিক, জব্বার, শফিউর, সালাম, বরকত সহ আরো অনেকেই। সেই থেকে এ দিনটি (২১ শে ফেব্রুয়ারি) শহীদ দিবস বা মাতৃভাষা দিবস হিসেবে চিহ্নিত। ২০০০ সাল থেকে শুরু করে প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের ইতিহাস
১৯৫২ সালের এই দিনে (৮ ফাল্গুন, ১৩৫৮, বৃহস্পতিবার) বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে অনেক তরুণ শহীদ হন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলো রফিক, জব্বার, শফিউর, সালাম, বরকত সহ আরো অনেকেই।
১৯৯৮ সালের ২৯ মার্চ কফি আনানের কাছে ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য ঘোষণার প্রস্তাব দেয়া হয়। কফি আনান ছিলেন কানাডার ব্রিটিশ কলোম্বিয়ার মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ লাভার্স অব দ্যা সোসাইটি জাতি সংঘের মহাসচিব। আর এই সোসাইটি সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম। তিনি ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার ক্ষেত্রে বেশ বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। এই প্রস্তাবনা সাক্ষর করেছিলেন প্রায় ১০ জন যারা ছিলেন ভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষ।
এরপর জাতিসংঘের পরামর্শ অনুযায়ী এই প্রস্তাবনা নিয়ে প্যারিসে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংগঠন ইউনেস্কোতেও যোগাযোগ করা হয়। এভাবেই কেটে যায় ১ বছর। ১ বছর পর অর্থাৎ, ১৯৯৯ সালের ৩ মার্চ আবার শুরু করা হয় এই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্বীকৃতি নিয়ে। পথ চলা শুরু করেন মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম।
আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় পর্যায়ে অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে থাকে। এই প্রস্তাবনায় ১৮৮ টি দেশ সমর্থন জানান এবং সাধারণ পরিষদের ৬৫ তম অধিবেশনে উপস্থাপন করে বাংলাদেশ। ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবস আন্তর্জাতিক মর্যাদা দিয়ে পালিত হয়ে আসছে প্রতিবছর।