পদ্মা সেতু সম্পর্কে ১০ (দশ) বাক্য
পদ্মা সেতু
বাংলাদেশের গৌরব অর্জন স্বপ্নের পদ্মা সেতু। দেশে মেগা প্রজেক্ট গুলির মধ্যে পদ্মা সেতু অন্যতম।পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য প্রায় ৬.১৫ কিলোমিটার। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় দৈর্ঘ্যের সেতুর নাম পদ্মা সেতু।পৃথিবীর দীর্ঘতম সেতুর তালিকায় বাংলাদেশের পদ্মা সেতু বিশ্বের ১২২ তম দীর্ঘ সেতু। পদ্মা সেতুতে একই সাথে রেললাইন এবং সড়ক পথ রয়েছে। পদ্মা সেতু ০৪ (চার) লেন বিশিষ্ট উপরে গাড়ি চলাচল ও নিচে চলবে রেলগাড়ি। পদ্মা সেতুর কারণে দক্ষিণবঙ্গের সাথে ঢাকার যোগাযোগ আরো সহজ হয়েছে। পদ্মা সেতুর পদ্মানদীর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত হতে শরীয়তপুর জাজিরা প্রান্ত পর্যন্ত সংযুক্ত হয়েছে। পদ্মা সেতু নির্মাণ করার জন্য বাংলাদেশের সর্বমোট ব্যয় হয়েছে ৩০,১৯৩ কোটি টাকা। পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ ১২ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মূল সেতুর পাইলিং এবং নদীশাসনের কাজ উদ্বোধন করেন।সেতুটি ২০২২ সালের ২৫ জুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন এবং জনসাধারনের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হয়।
পদ্মা সেতু সম্পর্কে ১০ (দশ) বাক্য
- পদ্মা সেতুর সর্বপ্রথম কার্যক্রম শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর।
- পদ্মা সেতুর প্রকল্পের নাম পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প।
- পদ্মা সেতুর পদ্মা সেতু নির্মাণ ব্যয় মোট ৩০,১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
- পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য,প্রস্খ ও উচ্চতা যথাক্রমে ৬.১৫ কিলোমিটার,৭২ ফুট ও ৬০ ফুট।
- পদ্মা সেতুর পিলার সংখ্যা,ভায়াডাক্ট পিলার ও পাইলিং গভীরতা যথাক্রমে ৪২ টি,৮১ টি ও ৩৮৩ ফুট।
- পদ্মা সেতুর প্রতিটি পিলারের জন্য পাইলিং সংখ্যা ও সর্বমোট পাইলিং সংখ্যা যথাক্রমে ৬ টি ও ২৬৪ টি।
- পদ্মা সেতুর নকশা করেন এইসিওএমের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় পরামর্শক দল।
- পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়ক দুই প্রান্তে প্রায় ১৪ কিলোমিটার।
- পদ্মা সেতুর প্রকল্প নদী শাসন দুই পারে প্রায় ১২ কিলোমিটার।
- পদ্মা সেতুর উদ্ভোদন হয় ২০২২ সালের ২৫ জুন।